সোমবার (৫ নভেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও ৬৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছে।
এনামুল হক সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের মৃত তোয়াজ অালীর ছেলে। আহত তিন ডিবি সদস্য হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইব্রাহিম, কনস্টেবল সোহাগ মিয়া ও মাসুদ হাসান।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বটতলায় একদল মাদকবিক্রেতা মাদক পাচারের জন্য ফেনসিডিল জড়ো করেছে, এমন সংবাদে সেখানে অভিযান চালানো হয়। ডিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদকবিক্রেতারা গুলি চালায়। ডিবি সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে মাদকবিক্রেতারা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এনামুলকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ডিবি সদস্যদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এনামুল হক এনা এলাকার একজন শীর্ষ মাদকবিক্রেতা এবং তার নামে হত্যাসহ ৮টি মামলা রয়েছে বলেও জানান ওবায়দুর রহমান।
তিনি আরও জানান, এনামুলের মরদেহ বর্তমানে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৮
এইচএ/