শুধু যারা অনির্বাচিত বা টেকনোক্র্যাট শাখায় (জাতীয় সংসদ সদস্য নন) ছিলেন তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (০৬ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মন্ত্রিপরিষদ যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে। সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বা নতুন করে মন্ত্রী পরিষদ ছোট করতে হবে এমন কিছু বলা নেই। গতবার আমরা করেছিলাম সব দলকে (সংসদে যাদের প্রতিনিধি ছিলো) রাখার জন্য।
তবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী যারা আছেন তারা থাকবেন না। এ সময় তিনি বর্তমান মন্ত্রিপরিষদে থাকা চারজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীকে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
পড়ুন>>মন্ত্রিসভার টেকনোক্র্যাট সদস্যদের পদত্যাগের নির্দেশ
শেখ হাসিনা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দেওয়ার সময় হাইকোর্টের রায়ে বলা আছে, নির্বাচনের সময় তফসিল ঘোষণার পর সরকারের মন্ত্রিপরিষদে অনির্বাচিত কেউ থাকতে পারবেন না। তাই আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণে অনির্বাচিতরা থাকতে পারবেন না।
বর্তমান মন্ত্রিসভায় চারজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, ডাক, টেলিযোযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
সূত্র আরও বলছে, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মন্ত্রীদের কোনো ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা না নেওয়া এবং কঠোরভাবে আইন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কোনো মন্ত্রী সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা নিতে পারবেন না। আপনাদের কঠোরভাবে এ আইন মেনে চলতে হবে।
সভায় অংশ নেওয়া একাধিক সূত্র জানায়, ওই সময় আলোচনায় চলমান সংলাপের প্রসঙ্গ এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার সঙ্গেই তো আলোচনা করেছি। আলোচনা তো শেষ পর্যায়ে। ৭ নভেম্বরের পর আর কোনো আলোচনা হবে না। এখন আমরা কি সারা বছর ধরে আলোচনা করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৮
এসকে/এমএ