মঙ্গলবার (৬ নভেম্বরর) রাতে সদর থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-খুরুশকুলের কোনারপাড়া এলাকার মো. আলম মাঝির ছেলে নবাব মিয়া ও পিএমখালীর জুমছড়ি সিকদার পাড়ার আমিন সওদাগরের ছেলে জিয়াউদ্দিন শিবলু।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খুরুশকুল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কোনারপাড়া এলাকার জেলে নবিউল হকের ছেলে হোটেল বয় মামুনকে ডাকাতদের সঙ্গে যোগসাজশের সন্দেহে তারই প্রতিবেশীরা পিটিয়ে ও বৈদ্যুতিক শকে হত্যা করে।
নিহত মামুনের মা হাজেরা বেগম জানান, মামুন কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটা এলাকার একটি হোটেলে বয়ের কাজ করতো। কাজ শেষে রোববার (৪ নভেম্বর) বেলা ২টার দিকে সে বাড়িতে আসে। এরপর মামুন তার সমবয়সী প্রতিবেশী আব্বাস উদ্দিন, নবাব মিয়া, মৃত সোলতান আহমদের ছেলে কাজল ও ফরিদ আলমের ছেলে নুরুল হুদা মিলে একটি টমটম নিয়ে পার্শ্ববর্তী পিএমখালীতে বেড়াতে যায়। সেখানে তারা শিবুল ডাকাত বাহিনীর কবলে পড়ে। ওই বাহিনী তাদের টমটমসহ আটকে রাখে। এক পর্যায়ে মামুন কৌশলে বাঁধন খুলে পালিয়ে আসে। পরে ডাকাত বাহিনী টমটমটি রেখে দিয়ে বাকিদেরও ছেড়ে দেয়। পরে তারা ফিরে এসে মামুনকে ঘটনার জন্য দায়ী করে এবং তাকে ধরে টমটম মালিক জাকের হোসেন বাক্কুর গ্যারেজে নিয়ে গিয়ে বেঁধে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এতে মামুন অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়। ছেলেকে বাঁচাতে হাজেরা বেগম ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা তাকেও লাথি-ঘুষি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর মামুনকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। এরমধ্যে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৮
আরআর