শুক্রবার (০৯ নভেম্বর) সকালে শহরের চৌয়ালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফজলুল করীম ওই এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, ফজলুল করিম চৌয়ালা মার্কেটে মুদি মালের ব্যবসা করতেন। আর তা দিয়েই তিনি তার তিন ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে তার সংসার চলতেন। ছয় বছর আগে ফজলুলের প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা গেলে তিনি আবার বিয়ে করেন। এরপর তার মেঝো ছেলে মাসুম মিয়া বাবা ফজলুলকে সম্পদ ভাগ করে দিতে বলেন।
ফজলুল সম্পত্তি ভাগ না করায় মাসুম প্রায়ই তার সৎ মায়ের ওপর নির্যাতন করতেন। তার নির্যাতনের মাত্রা সইতে না পেরে ফজলুল তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে মাসুম কিছুটা শান্ত হলে তিনি তার স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই মাসুম আবার তার সৎ মায়ের ওপর অত্যাচার শুরু করেন।
এ নিয়ে সকালে আবারো মাসুমের সঙ্গে তার বাবার ঝগড়া বাধে। এক পর্যায়ে মাসুম শাবল দিয়ে ফজলুলের ঘাড়ে কোপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
নিহতের স্ত্রী স্বপ্না আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, আমি বিয়ের পর থেকে এক দিনের জন্যও মাসুমের জন্য শান্তিতে সংসার করতে পারেনি। সে সব সময়ই সম্পদের জন্য আমার স্বামীকে চাপে রাখতো। সে নেশাগ্রস্ত হওয়ায় আমার স্বামী তাকে সম্পদ বাটোয়ারা করে দিতে চাইতো না। সম্পদের লোভে পড়েই মাসুম আমার স্বামীকে হত্যা করেছে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৮
এনটি