শুক্রবার (০৯ নভেম্বর) ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার আব্দুল লতিফের ছেলে।
বুধবার (৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে উদ্ধার করে সদর উপজেলার বাখেরআলী সীমান্তে নিয়ে আসে তার সঙ্গীরা। সেখান থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতের বড়ভাই শহীদুল ইসলাম ফেটু (৪৫) ও সুন্দরপুর ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুর রহমান কালু ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
শহীদুল ইসলাম বলেন, পেটে রাবার বুলেট বিদ্ধ ফটিককে সংকটাপন্ন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
শহীদুল আরও বলেন, বুধবার রাত ১১টার দিকে ভারতে গরু আনতে যায় ফটিকসহ আরো কয়েকজন। এসময় কুতুবপুর এলাকায় বিএসএফ’র বাজিতপুর ক্যাম্প সদস্যরা ওই রাখালদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে ফটিকের পেটে গুলিবিদ্ধ হয়।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩-বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এখলাছুর রহমান বলেন, ঘটনাটি তারা স্থানীয় সূত্রে জানার পর আহত ফটিকের বাড়িতে খোঁজ নেন। কিন্তু পরিবার বিষয়টি অস্বীকার করে। এরপরও বিজিবি ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। এ ব্যাপারে বিএসএফকে প্রতিবাদপত্র (প্রোটেস্ট নোট) পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে পতাকা বৈঠকের জন্য চিঠি পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৮
আরএ