নড়াইল জেলা রেন্ট-এ-কার মাইক্রো চালক মো. আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা চালকরা গাড়ি টার্মিনালে রাখার পর আমাদের কোনো বসার জায়গা ছিলো না। বিষয়টি মাশরাফিকে জানানো হলে আমাদের ঘর তৈরির জন্য টাকা দেন।
আব্দুল্লাহ বলেন, নড়াইল জেলা রেন্ট-এ-কারে মোট দুই শতাধিক মাইক্রো-প্রাইভেট কার চালক-হেলপার আছে। দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও আমরা নিজেদের বিশ্রাম নেওয়ার মতো একটি ঘর তৈরি করতে পারিনি। ৩০ বছরেরও বেশি সময় আমরা রাস্তার পাশে গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নিয়েছি। দীর্ঘদিন এভাবে থাকার পর আমরা বিষয়টি মাশরাফিকে জানাই। তিনি আমাদের ঘর নির্মাণ করার জন্য টাকা দেন। সেই টাকা দিয়ে টার্মিনালে ড্রাইভারদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হয়। এখন আমাদের রাস্তার পাশে গাছের নিচে বসা লাগে না। কাজ শেষে টার্মিনালে গাড়ি পার্কিং করে মাশরাফির উপহার দেওয়া ঘরে বিশ্রাম নিতে পারি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সফল দলপতি মাশরাফির বাবা গোলাম মর্তুজা স্বপন বাংলানিউজকে বলেন, মাশরাফি সব সময় চেষ্টা করে মানুষকে উপকার করার। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৮
এনটি/এসএইচ