খাগড়াছড়ির সবচেয়ে বড় কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেলার দীঘিনালা বন বিহারে। দু’দিনব্যাপী এ উৎসবে জেলা ও জেলার বাইরের ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ ঘটে।
শুক্রবার (৯ নভেম্বর) সকালে বিহার প্রাঙ্গণে আয়োজিত বিশাল ধর্মীয় সমাবেশে দেশনা (ধর্মীয় বক্তব্য) দিয়েছেন দীঘিনালা বন বিহারের অধ্যক্ষ নন্দপাল মহাস্থবির। তিনি বনভান্তের প্রধানতম শিষ্য।
গৌতম বুদ্ধর সময় বিশাখার প্রবর্তিত নিয়ম অনুসরণ করে দু'দিনব্যাপী এই দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসবটি। এ বিহারের ২০তম কঠিন চীবর দান। এছাড়া জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের ৫৮ জন বৌদ্ধ ভিক্ষু উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী অংশ নেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা, ওই সুতায় রঙ লাগিয়ে চীবর তৈরি করেন শত শত দায়ক-দায়িকা। সেই চীবর ভান্তেদের উৎসর্গ করা হয়।
এছাড়াও সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কারদান, বৌদ্ধ মূর্তি দান, ভিক্ষুদের পিন্ড দানসহ বিভিন্ন দান করা হয়। সন্ধ্যার পর ফানুস বাতি উত্তোলন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৮
এডি/এএটি