শনিবার (১০ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
কারাগারের জেলার আমজাদ হোসেন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাবুসোনা হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম বেশ কিছুদিন থেকে ডায়াবেটিক ও হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন। ভোরে তিনি গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে রমেকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আমরা ডেড সার্টিফিকেট পেয়েছি। ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. অজয় রায় বাংলানিউজকে জানান, হাসপাতালের আনার কিছুক্ষন পরেই কামরুল মারা যান। কি কারণে মারা গেছেন তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে।
উল্লেখ্য, বাবুসোনা হত্যা মামলাটি রংপুর জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছিলো। মামলার অপর আসামি বাবুসোনার স্ত্রী কামরুলের প্রেমিকা স্নিগ্ধা সরকার ওরফে দীপা জেল হাজতে রয়েছেন।
চলতি বছরের ২৯ মার্চ রাতে বাবুসোনাকে ১০টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ তাজহাট মোল্লাপাড়ায় প্রেমিক কামরুলের ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা হয়।
৩ এপ্রিল রাতে বাবুসোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার ওরফে দীপা ভৌমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব আটক করে। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন এবং মরদেহের অবস্থান সম্পর্কে তাদের জানান। সেই সূত্র ধরে ওইদিন রাতে মোল্লাপাড়ার একটি বাড়ির মেঝে খুঁড়ে নিহত বাবুসোনার গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
আরবি/