শনিবার (১০ নভেম্বর) ভোরে ওই এলাকার নুরুল আমিন কোম্পানির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বুলবুল আকতার জানান, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন তার বাড়িতে তিনি পাঁচ সন্তান, স্বামী ও ভাতিজা নিয়ে বসবাস করেন।
তিনি বলেন, ভোরে তিনি সন্তানদের নিয়ে ভেতরের রুমে এবং তার ভাতিজা খায়রুল আমিন বারান্দায় ঘুমাচ্ছিলেন। ভোর চারটার দিকে ১০ থেকে ১২ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত বারান্দার দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে খায়রুলকে মারধর করে তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে ভেতরের রুম খুলতে বাধ্য করেন ডাকাতরা। পরে ডাকাতরা আলমারি খুলে নগদ এক লাখ টাকা, পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার ও দামি আসবাবপত্রসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করে পালিয়ে যান।
খালেকের পাহাড়ের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন জানান, ভোর চারটার দিকে তিনি ফজরের নামাজ পড়তে ঘর থেকে বের হন। ্লেএ সময় ১৫ জন ব্যক্তিকে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন খালেকের পাহাড়ের দিকে চলে যেতে দেখেছেন তিনি। তিনি ওই ব্যক্তিদের (ডাকাতদল) গন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা নিজেদের 'পুলিশ' পরিচয় দিয়ে ধমক দেন বলেও জানান জসিম।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ‘রহস্যজনক’ মনে হচ্ছে। ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে ঘটনাটি ঘটতে পারে মনে হচ্ছে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
আরআইএস/