এসব শাখায় কয়েকজন কর্মকর্তা ছুটির দিনেও অফিস করছেন। চালু রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের লিফট ও আনুষঙ্গিক সেবাসমূহ।
অফিসে আসা কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন হতে পারে-এমন কারণে খোলা রাখা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কয়েকটি শাখা।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ৬ নভেম্বর টেকনোক্র্যাট কোটায় নিয়োগ পাওয়া চার মন্ত্রী- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী হিসেবেই নূরুল ইসলাম বিএসসি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পদত্যাগপত্র জমা দিলেও তারা অফিস করছেন, এখনও তাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি।
অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের জন্য এই চার মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল বলে সিনিয়র মন্ত্রীদের ধারণা। গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছিলেন, শুক্রবার বা শুক্রবারের পরই নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হতে পারে। মন্ত্রিসভায় নতুন কোনো সদস্য আর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন না বলেও দাবি করেছিলেন মুহিত।
৮ নভেম্বর নির্বচানী তফসিল ঘোষণার পরদিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারও খোলা ছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কয়েকটি শাখা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন সাংবাদিকরাও এসেছিলেন সচিবালয়ে।
শনিবারও গিয়ে দেখা যায়, খোলা রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওইসব শাখা, এসেছেন সাংবাদিকেরাও। কর্মকর্তারা তৎপর রয়েছেন।
এর আগে গত ৮ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসন ও শৃঙ্খলা শাখার এক চিঠিতে বলা হয়, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দাফতারিক প্রয়োজনে ৯ ও ১০ নভেম্বর (শুক্র ও শনিবার) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয়ের ১ নম্বর ভবনের নিচতলায় ৯ ও ২১ নম্বর কক্ষ, তৃতীয়তলার ২০৫, ২০৬, ২০৭, ২০৮ ও ২১০ নম্বর কক্ষ এবং চতুর্থতলার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মহোদয়ের দফতরে খোলা থাকবে। ’
এ বিষয়ে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন সিনিয়র সহকারী সচিব স্বাক্ষরিত চিঠি সচিবালয়ের গণপূর্ত বিভাগের ইডেন ভবনের নির্বাহী প্রকৌশলীর পাঠানো হয়।
ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চিঠির অনুলিপি জননিরাপত্তা বিভাগ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সরকার গঠন ও রাষ্ট্রাচার শাখা, সাধারণ সেবা শাখা ছাড়াও কক্ষ ও লিফট চালু রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সাধারণত মন্ত্রিসভার নতুন সদস্য নিয়োগ, পুর্নগঠন, রদবদল বা অব্যাহতির বিষয়গুলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সরকার গঠন ও রাষ্ট্রাচার শাখা হতে দাফতরিক কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সচিবালয়ে আসার কথা রয়েছে।
মন্ত্রিসভা পুর্নগঠন বা রদবদলের কোনো খবর হতে পারি কিনা- জানতে চাইলে বিকাল পৌনে চারটার দিকে মোবাইল ফোনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘না, এখন পর্যন্ত কোনো খবর নাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
এমআইএইচ/এমএ