এসময় তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনেন। এসময় তাদের জোর করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে না বলেও আশ্বাস দেন জাতিসংঘের এ বিশেষ দূত।
সকাল ১১টার দিকে তিনি প্রথমে উখিয়ার জামতলী, পরে সেখান থেকে টেকনাফ নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরের পাশে এলপিজি ওয়ারহাউস ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারে যান। সেখানে একটি কক্ষে প্রায় এক ঘণ্টা রোহিঙ্গদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তিনি রোহিঙ্গাদের মুখে নির্যাতনের কাহিনী শোনেন। এসময় সেখানে তিনি টেকনাফ নয়াপাড়া অনিবন্ধিত শালবাগান ডেভেলমেন্ট কমিটির নারী চেয়ারম্যান রমিদা বেগমসহ ৯ রোহিঙ্গা নেতার সঙ্গে কথা বলেন। মিয়ানমারের পরিস্থিতিও তাদের কাছে তুলে ধরেন। তবে সেখান থেকে বের হয়ে ক্রিস্টিন এস বার্গনার সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
ক্রিস্টিন এস বার্গনারের সঙ্গে বৈঠকে মিয়ানমারের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন টেকনাফ শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান রমিদা বেগম। তিনি জানান, ‘মিয়ানমারের সেনারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করতে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে এবং এ কারণেই আমরা মিয়ানমার থেকে প্রাণে বাঁচতে এদেশে পালিয়ে আসি’ বলে জানিয়েছি আমরা। আমাদের নাগরিকত্ব প্রদানসহ সব দাবি-দাওয়া পূরণ করলে আমরা মিয়ানমারে ফিরে যাবো। এসব কথা আমরা তাকে জানিয়েছি।
‘আমাদের এসব কথার জবাবে তিনি (জাতিসংঘের বিশেষ দূত) বিচার পাওয়ার ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তাদের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন, এমনকি কোনো রোহিঙ্গাকে জোর করে সেদেশে পাঠানো হবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন’।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ও প্রত্যাবাসন কার্যক্রম দেখতে পাঁচদিনের সফরে বাংলাদেশে এসে শুক্রবার (৯ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে বিমানে কক্সবাজার পৌঁছান ক্রিস্টিন এস বার্গনা। এরপর তিনি বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং রাতে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালামের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
এসএইচ