শনিবার (১০ নভেম্বর) উপজেলার আদাবাড়িয়া ডিজিটি স্কুলের পাশের একটি বাড়িতে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত ওই কলেজছাত্রী বর্তমানে কুষ্টিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের বিলগাথুয়া গ্রামের খলিল মালিথার ছেলে হোসেন আলী দুই সপ্তাহ আগে সৌদিআরব থেকে ছুটিতে বাড়ি আসেন। সৌদিআরবে থাকা অবস্থায় হোসেন আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই কলেজছাত্রী প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে শনিবার বেলা ১১টার দিকে বাগুয়ান এলাকার ড. ফজলুল হক গার্লস কলেজের সামনে থেকে হোসেন আলী ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং তাকে আদাবাড়িয়া ডিজিটি স্কুলের পাশের এক অত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
পরে সন্ধ্যায় উপজেলার ডাংমড়কা ইটভাটার কাছে ওই কলেজছাত্রীকে ফেলে হোসেন আলী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে সেন্টু জুলার বাড়িতে আটকে রাখে। পরে সেখান থেকে হোসেন আলী কৌশলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ওই দিন রাতে কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে ওই কলেজছাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নির্যাতিত ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৮
এনটি