ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ইতিহাসের এই দিনে

মীর মশাররফ-হুমায়ূন আহমেদের জন্ম

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
মীর মশাররফ-হুমায়ূন আহমেদের জন্ম ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।

১৩ নভেম্বর, ২০১৮, মঙ্গলবার। ২৯ কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৭৭৫- আমেরিকার বিদ্রোহীরা কানাডার মন্ট্রিল দখল করেন।
১৮০৫- ফরাসিরা ভিয়েনা দখল করে নেন।
১৮৩৫- টেক্সাস মেক্সিকোর কাছ থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়।
১৮৬৪- গ্রিসের নতুন সংবিধান গৃহীত হয়।
১৯১৮- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ প্রান্তে এসে সম্মিলিত বাহিনী অটোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল দখল করে।
১৯৭৭- ঢাকায় বিজ্ঞান জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়।
১৯৮৫- কলম্বিয়ায় ভূমিকম্পে ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
১৯৮৯- আকস্মিক ধসে পশ্চিমবঙ্গের রানিগঞ্জের কয়লাখনির অভ্যন্তরে ৭১ শ্রমিক আটকা পড়েন। পরে বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ক্যাপসুলের সাহায্যে ৬৫ জনকে জীবিতাবস্থায় উদ্ধার করা হলে এই উদ্ধার পদ্ধতি বিশ্বে বিস্ময়ের সৃষ্টি করে।

জন্ম
১৮৪৭- অন্যতম বাঙালি ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেন।

তিনি ছাত্রাবস্থায় সংবাদপত্র প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকার মফঃস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। এখানেই তার সাহিত্য জীবনের শুরু। গ্রামবার্তার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তার সাহিত্যগুরু। মীর মশাররফ ছিলেন বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও উনিশ শতকের বাঙালি সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ। বঙ্কিমচন্দ্রের দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫) উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার চার বছর পর মশাররফের প্রথম উপন্যাস রত্নাবতী (১৮৬৯) প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি একে একে কবিতা, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, পাঠ্যপুস্তক ইত্যাদি বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার ‘বিষাদ-সিন্ধু’ উপন্যাসের জন্য।

১৯২১- বাঙালি লেখক অশোক বড়ুয়া।

১৯৪৮- জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ।
বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের অন্যতম মনে করা হয় তাকে। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, গীতিকার, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি লাভ করা হুমায়ূন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন অধ্যাপনা করেন। তবে লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে একসময় তা ছেড়ে দেন। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিন শতাধিক। হুমায়ূনের সৃষ্ট ‘হিমু’, ‘মিসির আলি’, ‘শুভ্র’ ও ‘বাকের ভাই’ চরিত্রগুলো দেশের তরুণশ্রেণিকে আজও গভীরভাবে উদ্বেলিত করে। হুমায়ূন রচিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ‘নন্দিত নরকে’, ‘মধ্যাহ্ন’, ‘জোছনা ও জননীর গল্প’, ‘মাতাল হাওয়া’ ইত্যাদি। তার নির্মিত অন্যতম চলচ্চিত্র হলো- ‘দুই দুয়ারী’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘ঘেঁটুপুত্র কমলা’ ইত্যাদি। সাহিত্য সংস্কৃতিতে অনন্য অবদানের জন্য হুমায়ূন জিতেছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা।

১৯৬৭- জনপ্রিয় ভারতীয় অভিনেত্রী জুহি চাওলা।

মৃত্যু
১৯০৭- ব্রিটিশ কবি ফ্রান্সিস থমসন।

বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
টিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।