এরা হলো বাল্কহেড ‘মোহাম্মাদিয়া’-৫ এর মাষ্টার বরগুনার আমতলী উপজেলার ঝাড়াখালী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস ছালাম ফরাজী (৩৮), স্টাফ ও একই এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে রাসেল রাঢ়ী (২৬) ও আসলাম রাঢ়ী (২০), শহীদ রাঢ়ী’র ছেলে অলী রাঢ়ী (২৩) ও আমতলীর শিকারী পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল আজিজ ফকিরের ছেলে মালেক ফকির (৩৬)। তবে এ ঘটনায় স্টিমারের কোন যাত্রী হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
সোমবার (১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাল্কহেড ডুবির ঘটনা ঘটে। এ প্রসঙ্গে আহত রাসেল রাঢ়ী বলেন, স্টিমার ও বাল্কহেড একই দিকে চলছিলো। হঠাৎ কেরে বাল্কহেডের মাঝ বরাবর সজোরে ধাক্কা দেয় স্টিমারটি। মুহুর্তের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীর পানিতে নিমজ্জিত হতে শুরু করে। এসময় জীবন বাঁচাতে বাল্কহেডে থাকা মাস্টার, চালক সহ অন্যান্যরা নদীতে ঝাপ দেই। পরে অন্য নৌ-যানের সহায়তায় আমাদের উদ্ধার করা হলে বাল্কহেডটি ডুবে যায়।
এদিকে স্টিমারের যাত্রী মিজান জানান, ধাক্কা লাগার পরপরই স্টীমারের ডান পাশের একটি অংশ ফেটে যায়। তাৎক্ষনিক মাষ্টার স্টিমারটি নদী তীরে নিয়ে গেলে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় যাত্রীরা। পরে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন কোম্পানির একটি লঞ্চে স্টিমারের যাত্রীদের উঠিয়ে দেয়া হয়।
যাত্রীদের বরাত দিয়ে বরিশাল সদর নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, স্টিমার ‘পিএস টার্ন’ মোড়লগঞ্জ থেকে বরিশাল হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এসময় বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ সংলগ্ন বগাদী এলাকায় নদীতে পৌছালে ‘মোহাম্মাদিয়া’ ৫ নামক একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। পাশাপাশি স্টিমারটির সামনের অংশের তলা ফেটে পানি ঢুকতে শুরু করলে সেটিকে পার্শ্ববর্তী একটি চরে নোঙর করা হয়।
স্টিমারটিতে ২৫০ যাত্রী ছিলো। যাদের বিকল্প ব্যবস্থায় গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) সহকারী মহা ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৫ ঘন্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
এমএস/এইচএমএস/এমকেএম