মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে গত ৬ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য না হয়েও বিশেষ বিবেচনায় মন্ত্রী) মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ দেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সবদল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, এটা ভালো দিক। এতে করে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মানে আমরা ৭০টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছি। নির্চবাচন কমিশন বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, নির্বাচন সাতদিন পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করেছে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৪ হাজার ৩০০ মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বুধবার (১৪ নভেম্বর) সকালে তাদের নিয়ে বৈঠক হবে। এরপর কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
তিনি বলেন, আমরা এখন নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করছি। শুধু রুটিন কাজ করছি। নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। মন্ত্রিসভার রদবদলের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যারা জয়ী হবেন তারা নতুন সরকার গঠন করবেন।
নির্বাচনে কি খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি যতটুকু সংবিধান বুঝি তাতে করে কারো যদি দুই বছরের বেশি সাজা হয় তারপর জামিনে মুক্তি হলেও, যতোক্ষণ না তার সাজা আদালত মওকুফ করেন ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। এছাড়া কাউকে যেনো রাজনৈতিকভাবে হয়রানি না করা হয় সেজন্য প্রত্যেক জেলায় সরকার নির্দেশনা পাঠিয়েছে বলেও জানান বণিজ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
জিসিজি/জেডএস