তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক নেতাদের একটা বিষয় বোঝা উচিত যে, অবসরে যাওয়ার জন্য ৮৫ বছর যথেষ্ট। এখনও অনেক সিনিয়র রাজনীতিবিদ মাঠে রয়েছেন যাদের অবসরে যাওয়া উচিত।
মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর দফতরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের লভ্যাংশের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন। এসময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে পুঁজিবাজার ও আর্থিক খাতে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। এবার নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করছে এটা ভালো লক্ষণ ও রাজনৈতিক সফলতা। তবে এর একটা ভালো প্রভাব রাজনীতি, অর্থনীতিসহ সমাজের সব ক্ষেত্রেই পড়বে। সবকিছু ভালোভাবে চলছে। নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে বা কেউ অংশ না নিলে দুঃখ লাগতো।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে ধস নামে। পরে ২০১৩ সালে একটা সিস্টেমেটিক ওয়েতে নিয়ে আসা হয়। সেসময় বিভিন্ন আইন করে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা হয়। বর্তমানে প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) ভালো চলছে। বিদেশিরা বিনিয়োগ করছে। এছাড়া বাজারে কোনো অস্থিতিশীলতা তৈরি হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়াসহ শাস্তিও দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ১০ বছর দেশের অর্থনীতি ভালো ছিল। ব্যাংকিং খাতে একটু সমস্যা রয়েছে। এ বিষয়ে আমি যাওয়ার আগে একটা গাইডলাইন দিয়ে যাব।
বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, আমাদের দায়বদ্ধতা থেকে প্রতি বছর কোষাগারে লাভের একটি অংশ জমা দিয়ে থাকি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৫৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। এবছর সব মিলিয়ে ৩৯৫ কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। ক্রমান্বয়ে এটা বাড়ছে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে চায়নার বিনিয়োগকারীরা যুক্ত হয়েছে। দিন দিন পুঁজিবাজার একটি শক্তিশালী অবস্থার দিকে যাচ্ছে। বাজারের পরিধি বাড়ছে, নতুন নতুন পণ্য যোগ হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
জিসিজি/এসই/আরআর