ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারী পদ নিশ্চিতের আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারী পদ নিশ্চিতের আহ্বান আলোচনা সভায় বক্তারা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে ২/৪ শতাংশ নারী নেত্রী রয়েছে। নারীদের এই অংশগ্রহণ বাড়িয়ে ৩৩ শতাংশ করার জোরালো দাবি জানিয়েছে ডেমোক্রেসি ইনটারন্যাশনাল নামে একটি সংগঠন।

তাদের মতে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করার জন্য অধিক সংখ্যক নারী প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আরো পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়াও নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।


 
মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) গুলশানের লেকশোর হোটেলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের মনোনয়ন বৃদ্ধি শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানান। সভায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেত্রীরা অংশ নেন।
 
বক্তারা বলেন, অর্থনৈতিক নির্ভরতা নারীর রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বকে সীমাবদ্ধ করার অন্যতম মূল কারণ। তাছাড়াও পারিবারিক দ্বিগুণ দায়িত্ব নারীর অর্থোপার্জন করার ক্ষমতা হ্রাস করে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের পরিপ্রেক্ষিতে। নারীরা অর্থের ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ভোগেন, যা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  
 
এ সময় জাতীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয় সেগুলো তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো- রাজনৈতিক ক্ষেত্র ঘিরে পিতৃতান্ত্রিক কাঠামো ও রক্ষণশীল মনোভাব। দলের সমর্থনের অভাব, নারী প্রার্থীদের জন্য সীমিত সামাজিক ও আর্থিক সহায়তা, সীমিত রাজনৈতিক নেটওয়ার্ক প্রভৃতি।
 
বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের বর্তমান অবস্থা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের নারীদের জন্য আইনি কিংবা স্বেচ্ছা প্রার্থী হওয়ার কোনো ধরনের কোটা নেই। সবশেষ ২০১৪ সালে ৫.৩ শতাংশ নারী প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেয়। যেখানে ১৯টি সংসদীয় আসনে মধ্যে ১৮ জন নারী নির্বাচিত হয়ে সংসদে আসেন।  
 
নির্বাচনে নারী প্রার্থী সংখ্যা বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে তারা বলেন, এক্ষেত্রে দুটি প্রধান উপায় রয়েছে। আইনি প্রার্থী কোটা ও স্বেচ্ছা প্রার্থী কোটা।  
 
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোকের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপ-কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সদস্য আমেনা কোহিনূর, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র ডিরেক্টর অব ইলেকশন প্রোগ্রাম আব্দুল আলিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেত্রীরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
এমএএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।