মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে হাতিয়া বাজার মোড়ে শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল, শোক র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সাধারণ মানুষ।
হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাদের, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আমিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ফয়জার রহমান, এসআই মশিউর রহমান, হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মিজানুর রহমান প্রমুখ।
১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নে নারকীয় তান্ডব চালিয়ে হত্যা করেছিল ৬৯৭ জন নিরপরাধ মানুষকে। সেদিন ছিল ২৩ রমজান, চারিদিক সুনসান নিরবতা। রোজাদার মানুষ সেহেরি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। ফজরের নামাজের আগে হঠাৎ করেই চারদিক থেকে শুরু হয় অতর্কিতে বৃষ্টির মতো গুলি আর মর্টার সেলের গোলাবর্ষণ। ঘুমন্ত মানুষ আকস্মিক এ হামলায় প্রাণ ভয়ে ছুটতে থাকে। এরমধ্যেই চারদিক থেকে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। চিরুনী অপারেশন চালিয়ে উলিপুরের অনন্তপুর, রামখানা, নয়াডারা, বাগুয়া, নীলকন্ঠ, দাগার কুটিসহ সাতটি গ্রামের অসহায় ৬৯৭ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে দাগার কুটি খালের একত্রিত করে গুলি ও পুড়িয়ে হত্যা করে পাক বাহিনী। অনেকে সেদিনের নিষ্ঠুরতার কাহিনী স্মরণ করে আজো আঁতকে ওঠেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
এফইএস/আরআইএস/