কিন্তু এসব বিশষণের বাইরেও তিনি একজন মমতাময়ী মা, আদর্শ স্ত্রী এবং সর্বোপরী যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান। প্রশাসন পরিচালনায় ইস্পাত দৃঢ় কাঠিন্যকে ভেদ করে যিনি একজন মানবিক মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এসব মানবিক দিকগুলো এবার বড় পর্দায় প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ ডকুফিল্মটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে।
পরদিন শুক্রবার স্টার সিনেপ্লেক্সের পাশাপাশি ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল ও ব্লকবাস্টার সিনেমা’স এবং চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে একযোগে মুক্তি পাবে ৭০ মিনিট ব্যাপ্তির এ ডকুফিল্ম।
চলচ্চিত্রটির পরিচালনা করেছেন অ্যাপল বক্স ফিল্মসের পিপলু খান। সেন্টার ফর রিচার্স অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) পক্ষে ডকুফিল্মটি প্রযোজনা করেছেন রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও নসরুল হামিদ বিপু।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটের কনভেশন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে প্রযোজনা সংস্থা সিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস, পরিচালক পিপলু খান, ছবিটির পরিবেশক গাউসুল আজম শাওন ও শিবু কুমার শীল উপস্থিত ছিলেন।
পরিচালক পিপলু খান বলেন, এ ডকুফিল্মে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে উপস্থাপন করা হয়নি। এসবের বাইরেও তিনি একজন সাধারণ মানুষ, বঙ্গবন্ধুকন্যা সেটিকে সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। যার কারণে শেখ হাসিনার চারপাশের মানুষগুলোও ছবিটিতে রয়েছেন চরিত্র হিসেবে।
কাজের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা পেয়েছেন উল্লেখ করে পিপলু খান বলেন, শেখ হাসিনাকে আমি যেভাবে দেখাতে চাই, সেভাবেই কাজটা করেছি। কোনো নিয়মনীতির ছক তৈরি করে দেননি তিনি। যার ফলে কাজটা আমার মনের মতো হয়েছে। যেহেতু শেখ হাসিনা একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সে কারণে ইতিহাসের নানা ঘটনা, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, ক্ষমতার পালাবদল, ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনের নানা অভিজ্ঞতা এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গিসহ প্রতিটি বিষয়ে গবেষণা করতে হয়েছে। কাজটি চ্যালেঞ্জিং বলেই পাঁচ বছর সময় লেগেছে।
কাজের প্রাথমিক প্রস্তুতির বিষয়ে পরিচালক বলেন, ১৪ পৃষ্ঠার একটি কনসেপ্ট পেপার ও কিছু সঙ্গীত- এটাকে সঙ্গী করেই কাজটা শুরু করি। এরপর প্রধানমন্ত্রীর দৈনন্দিন কাজের ফাঁক গলে সময় বের করে শুটিং করা হয়েছে। যার কারণে এই দীর্ঘ সময় লেগেছে কাজটি শেষ করতে। আশা করছি, ছবিটি সবার ভালো লাগবে।
সিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস বলেন, আমরা একজন শেখ হাসিনাকে দেখতে পাই দেশের উন্নয়নের রূপকার হিসেবে। যিনি কিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলোকে সম্পন্ন করছেন। তার বাইরের একজন শেখ হাসিনা এ চলচ্চিত্রে উঠে এসেছেন।
ছবিটির পরিবেশক গাউসুল আজম শাওন বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্মিত কোনো প্রামাণ্যচিত্র নয়। এটা বঙ্গবন্ধুকন্যার ওপর নির্মিত চলচ্চিত্র। যাতে ’৭৫- এর আগে ও পরের শেখ হাসিনাকে সবাই জানতে পারবেন।
ডকুফিল্মটিতে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার আবেগঘন কণ্ঠ আর দৃশ্যায়নে ফুটে উঠেছে, বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালে নৃশংস হত্যার পর বিষাদপূর্ণ সময় ও দুই বোনের নির্বাসিত জীবনসংগ্রামের চিত্র। শেখ হাসিনা কখনও বঙ্গবন্ধু কন্যা, কখনো জননী, কখনো বোন, কখনো গণমানুষের ত্রাতা রূপের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে এ প্রামাণ্যচিত্রে।
‘হাসিনা: আ ডটারস টেল’ চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণ করেছেন সাদিক আহমেদ। সম্পাদনা করেছেন নবনীতা সেন এবং সঙ্গীতায়োজনে সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
আরএম/এমজেএফ