মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে ওই যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রাসেল ওই ইউনিয়নের পূর্ব কল্যাণপুর গ্রামের দিনমজুর মাইন উদ্দিনের ছেলে।
স্বজনদের দাবি, গরু চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে হত্যার পর পরিকল্পিতভাবে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত কালাম ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) ইউসুফকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার (১২ নভেম্বর) কল্যাণপুর গ্রামের কালাম মিয়ার গরু চুরির ঘটনা ঘটে। এতে রাসেলকে চোর আখ্যায়িত করে ইউপি সদস্য ইউসুফকে দিয়ে গ্রাম্য সালিশ বসায় বেলাল ও তার বাবা কালাম মিয়া। বৈঠকে রাসেলকে ৫০ বেত্রাঘাত ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সালিশি সিদ্ধান্ত তাদের মনমতো না হওয়ায় বেলাল ও কালাম মিয়া সেখানে থেকে উঠে যায়। ওইদিন রাতে তারা বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে রাসেলকে ডেকে নেয়। এরপর তিনি বাড়িতে ফেরেনি। পরে মঙ্গলবার দুপুরে খালপাড়ের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের ছোট ভাই রাশেদের ভাষ্যমতে, বেলাল ও তার বাবা কালাম ফোন করে রাসেলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরে মরদেহটি গাছে ঝুলিয়ে রাখে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, নিহত যুবকের মরদেহের গলায় জখমের চিহ্ন রয়েছে। এটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় কালাম ও ইউপি সদস্য ইউসুফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত করা হয়।
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
এসআর/এএটি