মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শাহিনুর আক্তার আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মিনারা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২৯ আসামি মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন।
আসামিরা হলেন- সমছু মিয়া, ছল্লুক মিয়া, আব্দুর রহমান, হাবিবুর রহমান, আমির উদ্দিন, শাহজাহান মিয়া, আব্দুল আহাদ, আলী আজম, মোহাম্মদ আলী, মোস্তাকিম আহম্মেদ, সোহাগ মিয়া, শহীদ মিয়া, বিল্লাল মিয়া, ইমরান মিয়া, আব্দাল মিয়া, আব্দুল মজিদ, এখলাছ মিয়া, সোহান মিয়া, কামাল মিয়া, মিজানুর রহমান, শানু মিয়া, শরাফত উল্লা, আহাম্মদ আলী, শিশু মিয়া, সাকিব মিয়া, পত্রিঙ্গা বিবি, সুমতা বিবি, রফিকুন্নেছা প্রমুখ।
কাঠখাল গ্রামের পাতনী বাড়ি ও চৌকিদার বাড়ির লোকদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের কাছুম আলী এবং তার লোকজনের। এ নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। তবে আব্দুস শহীদের নেতৃত্বাধীন পাতনী বাড়ি ও চৌকিদার বাড়ির পক্ষে ১১টি গোষ্ঠীর লোক থাকায় এলাকায় তাদের আধিপত্য বেশি। চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর সকালে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে শান্ত করে। পরবর্তীতে বিকেলে ১১ গোষ্ঠীর লোকজন এসে কাছুম আলীর বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় মিনারা খাতুনের বুকের ডানদিকে একটি টেটা বিঁধে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠান। টেটার আঘাত মিনারার হৃদযন্ত্রে স্পর্শ করায় তাকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিনারাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মিনারার স্বজনরা বাংলানিউজকে জানান, তার চার ছেলে এবং দুই মেয়ে রয়েছে। তিনি কোনো ধরনের বিরোধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তারপরও তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
জিপি