ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ওই বৈমানিকের এমন দাবির পর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে আইরিশ বিমান সংস্থা।
গত শুক্রবার (০৯ নভেম্বর) কানাডা থেকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড়ে আসছিলো ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের প্লেনটি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ওইদিন উড়ালের উপকূলীয় অঞ্চলে কোনো সামরিক মহড়া হচ্ছে না তা এটিসির কাছে জানতে চান পাইলট। তবে তাকে জানানো হয়, কোনো মহড়া হচ্ছে না।
তখন বৈমানিক এটিসিকে জানান, একটি উজ্জ্বল বস্তু ‘খুব দ্রুত নড়াচড়া করছে’ এবং প্লেনটির বাম দিকে চলে এসেছে। তবে বস্তুটি প্লেনটির সঙ্গে কোনো সংঘর্ষে না জড়িয়ে ‘দ্রুতবেগে’ উত্তর দিকে চলে যায়।
ব্রিটিশ বিমান ও এটিসি’র আলাপ-চারিতায় এক পর্যায়ে যুক্ত হন ভার্জিন বিমানের আরেক পাইলট। তিনিও এমন দ্রুতগতি আর উজ্জ্বল আলোকিত বস্তু দেখেছেন বলে জানান।
একই সঙ্গে এমন বস্তু একাধিক সংখ্যায় দেখেছেন বলেও দাবি করেন ভার্জিন বিমানের ওই বৈমানিক।
তিনি জানান, বস্তুটির গতি ছিলো মহাকাশ যান মার্স-২ এর মতো। যা শব্দের দ্বিগুণ গতিতে উড়তে সক্ষম।
এদিকে পাইলটদের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নেমেছে আইরিশ বিমান সংস্থা আইএএ। সংস্থাটি বলছে, কয়েকটি এয়ারক্র্যাফটের পাইলটের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিবেদন দেখা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত গোপনীয় ব্যবস্থায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে শ্যানন টাওয়ার কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি
বাংলাদেশ সময়: ২২১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
এমএ/