শুধু জেলা কার্যালয়ে নয়, ৯টি উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসেও রয়েছে প্রবল জনবল সংকট। জেলা অফিস থেকে বারবার শূন্য পদের তালিকা পাঠানো হলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
শহরের নূর মসজিদ মোড়স্থ জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বড় একটি জেলা অফিসে মাত্র ৩-৪ জন লোক কাজ করছেন।
এ বিষয়ে কথা হয় জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক সৈয়দ আমজাদ হোসাইনের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, চলিত বছরের আগস্ট মাসের ২ তারিখে তিনি যোগদান করেছেন। এর আগে তিনি প্রায় দুই বছর খুলনা বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিসের যুগ্ন পরিচালক অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, ২০১৩ সালে জেলা কার্যালয় স্থাপনের পর থেকে ১৩টির মধ্যে ১২টি পদই শুন্য ছিলো। পদগুলো হচ্ছে সহকারী পরিসংখ্যান কর্মকর্তা একজন, পরিসংখ্যান সহকারী চারজন, ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর দুইজন এবং একজন করে উচ্চমান সহকারী, কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, গাড়ি চালক, এলএমএসএস, নাইটগার্ড। তবে এরমধ্যে দুইজন পরিসংখ্যান সহকারী কিছু সময় দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও জেলার নয় উপজেলায় ৪৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ২২ জন। এরমধ্যে বাগেরহাট সদর, কচুয়া, রামপাল, ফকিরহাট ও মোল্লাহাটে উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নেই।
জেলা অফিস থেকে প্রতিমাসে শূন্য পদের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হলেও কোনো অগ্রগতি নেই লোকবল নিয়োগের বিষয়ে। তবে উপজেলা কার্যালয়গুলোতে লোকবল সংকট থাকার পরও সেখান থেকে লোক ডেকে জেলা অফিসের জরুরি কাজগুলো করানো হয় বলে জানান সৈয়দ আমজাদ।
এ ব্যাপারে খুলনার বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিসের যুগ্ন পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৩ সালে দেশের ৪১টি জেলায় নতুন করে জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয় স্থাপন করা হয়। সেখানে জেলা অফিসে প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টি করা হয়। জেলা কার্যালয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের জন্য কর্তৃপক্ষ খুবই আন্তরিক। ইতোমধ্যে তিনটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসা করি ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
এনটি