বুধবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক নুরুন্নাহার বেগম শিউলি এই আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- লাকসামের শ্রীয়াং এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুর রহমান (২৫), ইয়াকুব আলীর ছেলে মো. শহিদুল্লাহ সহিদ (২৭), আবদুল মান্নানের ছেলে ফারুক হোসেন (৩০), মো. সেলিমের ছেলে মো. রাসেল (৩০) এবং মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে মো. স্বপন (৩০)।
মামলার পাঁচ আসামিই পলাতক।
নিহত উত্তম দেবনাথ ও পরীক্ষিত দেবনাথ মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রতাপপুর গ্রামের মণিন্দ্র দেবনাথের ছেলে। এছাড়া বাচ্চু মিয়া লাকসাম জগতপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু তাহের জানান, ২০০৭ সালের ৬ জানুয়ারি লাকসাম উপজেলার শ্রীয়াং বাজারে দোকান বন্ধ করে কাঁচামাল ব্যবসায়ী উত্তম দেবনাথ (২৭), পরীক্ষিত দেবনাথ (১২) এবং পান ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া (৩৫) ভ্যানযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১২টার সময় শ্রীয়াং ও রাজাপুর রাস্তার বদিরপুকুর নামক স্থানে পৌঁছলে আসামিরা ডাকাত পরিচয় দিয়ে মাত্র ১৪শ’ টাকার জন্য তাদের রাস্তার পাশে ফসলি জমিতে নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে।
এরপর ওই বছরের ৭ জানুয়ারি নিহত বাচ্চুর ছোট ভাই কবির হোসেন বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১০ মাস তদন্ত শেষে লাকসাম থানা পুলিশ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে পাঁচ আসামি ফারুক হোসেন, আবদুর রহমান, শহীদ, স্বপন ও রাসেলকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আবু তাহের এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাঈমা সুলতানা মুন্নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
জেডএস