নির্বাচন ভবনে বুধবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করার পর ইসি সচিব সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও ঐক্যফ্রন্টের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্তের কথা জানতে চাওয়া হয়।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, পল্টনের বিষয়টি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ঘটনার জন্য নির্বাচন কমিশন দুঃখ পেয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না হয়, ওনারা এ ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন। বিষটি কমিশন ক্ষতিয়ে দেখবে। এরপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসলে ওখানে বিষয়টা কী হয়েছে, এটা পুলিশ বিভাগ থেকে জানতে চাওয়া হবে।
সচিব বলেন, যখন তফসিল ঘোষণা করা হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ জনপ্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে আসে। সুতরাং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যাস্ত। নির্বাচন কমিশন যেভাবে তাদের নির্দেশনা দেবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেভাবে কাজ করবে।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সব জোটগুলোতে আমরা লক্ষ্য করেছি মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও জমা দেওয়ার সময় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না হয়, সে বিষয়ে নজর রাখবে কমিশন।
ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন সব দলকে আস্থায় রেখে নির্বাচন করতে চায়। আমরা এখনও বলি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ও বিতরণ একটা উৎসবের অংশ। আমাদের দেশের লোক ভোট বিষয়টা উৎসব হিসেবে নেয়। পছন্দ করে।
খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সংবিধানে যেটা বলা আছে সেভাবেই অনুসরণ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আসলে আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে যে চিঠিটা দিয়েছি, এটা সবার জন্য প্রযোজ্য। যখন রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে, মনোনয়নপত্র জমা দিতে তারা যাবে, তখন যেন শোডাউন না হয়। সে ধরনের একটা সতর্কতা দিয়েছি। পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) বলেছি, তার পাশাপাশি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে আচরণবিধি ভঙ্গ না হয়। মনোনয়নপত্র বিক্রি নিয়ে দলগুলোর কার্যালয়ের সামনে যেহেতু জনদুর্ভোগ হচ্ছে বলে আমরা গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি, ওই হিসেবে যাতে কোনো দুর্ভোগ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেছি।
এরইমধ্যে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিইসি যে যেই অবস্থানে থাকুক না কেন, অত্যন্ত নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশনা দিয়েছেন। একইসঙ্গে সব প্রার্থীকে সমান সুযোগ দিয়ে কাউকে বঞ্চিত না করতে এবং কাউকে বাড়তি সুবিধা না দেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছেন।
ইসি ঘোষিত পুনঃতফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৯ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস