বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর ) রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে চূড়ান্ত প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৪ নভেম্বর) কক্সবাজার ও ঢাকায় এ বিষয়ে দফায় দফায় বৈঠকও হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ইউএনএইচসিআর বুধবার সন্ধ্যায় আরআরআরসি’র মাধ্যমে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতি চেয়েছে আরআরআরসি কার্যালয়। তবে এই উভয় কার্যালয়কে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এখন কক্সবাজারে স্থানীয়ভাবে এ দুই সংস্থা যৌথভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করবে।
ঢাকায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় উভয় পক্ষ। মিয়ানমারের কাছে ইতোমধ্যেই ৪৮৫টি পরিবারের ২২৬০ জন রোহিঙ্গার একটি তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে। ধাপে ধাপে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। প্রতিদিন ১৫০ জন করে রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানো হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে এমন আভাস দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
সূত্র আরও জানায়, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে গিয়ে প্রথমে ট্রানজিট ক্যাম্পে থাকবে। সেখান থেকে অস্থায়ী বাড়িতে থাকবে। তারপর ধীরে ধীরে তারা নিজ গ্রামে ফিরে যাবেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আগে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা ট্রানজিট ক্যাম্প পর্যবেক্ষন করবেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আগামী ১৫ নভেম্বর প্রথম দফায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় উভয় পক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
টিআর/আরআইএস/