রিচার্ড অলব্রাইট ১১ থেকে ১৩ নভেম্বর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ও স্থানীয় কমিউনিটি পরিদর্শন করেন। বিদ্যমান পরিস্থিতির মূল্যায়ন এবং স্থানীয় বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলাই ছিল তার এ সফরের লক্ষ্য।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস ১৫ ( নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কক্সবাজার সফরের সময় উপ সহকারী মন্ত্রী অলব্রাইট কুনাপাড়া বর্ডার ক্রসিং, ইউএনএইচসিআর ট্র্যানজিট সেন্টারসহ কয়েকটি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এবং চিকিৎসাসেবা, খাদ্য বিতরণ ও পুষ্টিসহ বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখেন।
ডব্লিউএফপি, ইউনিসেফ, রেড ক্রস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাসহ (আইওএম) যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা এগুলো বাস্তবায়ন করেছে। মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ইউএসএআইডি মিশন পরিচালক ডেরিক ব্রাউন। যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা কর্মসূচি দেখাশোনা এবং সরকার, জাতিসংঘ এবং এনজিওগুলোর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে পিআরএম এর কর্মকর্তারা যে নিয়মিত সফর করেন, রিচার্ড অলব্রাইটের সফরটি ছিল তারই অংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে চলমান সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং তাদের আশ্রয় দেওয়া স্থানীয় বাংলাদেশিদের সহায়তা করতে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। এ ছাড়াও জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান ২০১৮ -তে এ পর্যন্ত জমা পড়া মোট অর্থের ৪০ শতাংশ অনুদান যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত রেখে ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গারা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের উদারতার প্রশংসা করে। দুর্গত রোহিঙ্গাদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ যে অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র তারও প্রশংসা করে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৫ নভেম্বর থেকে হাজার দুয়েক রোহিঙ্গা শরণার্থীর প্রত্যাবাসন শুরু করার বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যৌথ পরিকল্পনার ওপর ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছে। আমরা ইউএনএইচসিআর এর এ মূল্যায়নের সঙ্গে একমত যে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখনো শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের জন্য পুরো অনুকূল নয়। মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিস্থিতি ভালোভাবে বোঝা এবং শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকদের ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দেশটিতে অবাধ প্রবেশাধিকার প্রয়োজন। বুঝে শুনে, নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের অব্যাহত অঙ্গীকার এবং ইউএনএইচসিআর কে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার নেতৃত্বে রাখাকে আমরা স্বাগত জানাই।
উপ সহকারী মন্ত্রী অলব্রাইট সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিয়ানমার গিয়ে সরেজমিন সফরের গুরুত্ব তুলে ধরেন। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-ও এরকম পরামর্শ দিয়েছে। যাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের ছেড়ে আসা গ্রাম ও মিয়ানমারের ট্র্যানজিট স্থাপনাগুলো নিজে দেখে স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে স্বজনদের সঙ্গে বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বাংলাদশে সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
টিআর/এসএইচ