বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী একথা বলেন।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ঢাকার বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ব্রিফিং শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, কোনো রোহিঙ্গাকেই জোর করে ফেরত পাঠানো হবে না। কেউ কেউ বলতে চাইছেন, আমরা জোর করে ফেরত পাঠাতে চাইছি। এটা মোটেও ঠিক নয়।
‘আমরা জোর করে ফেরত পাঠাতে চাইলে তাদের আশ্রয়ই তো দিতাম না। তবে আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। মানবতা দেখিয়েছি। তাই জোর করে ফেরত পাঠানোর প্রশ্নই ওঠে না। ’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা যাদের মাঝি বলা হয়, তারা রাখাইনে গিয়ে পরিস্থিতি দেখতে আসবে। ব্রিফিংকালে এ বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন কূটনীতিকরা। আমরা তাদের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছি। তারা গিয়ে দেখুক পরিস্থিতি কেমন। তারপর ফিরে এসে সিদ্ধান্ত নিক। এটি একটি ভালো প্রস্তাব।
মাহমুদ আলী বলেন, কূটনীতিকদের জাতীয় নির্বাচনের বিষয়েও অবহিত করা হয়েছে। নির্বাচন পেছানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেসব বিষয়ে তাদের জানানো হয়েছে।
ব্রিফিং থেকে বেরিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা চাইছি রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন হবে।
এসময় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ভারত সরকার রাখাইনে বাড়ি ঘর তৈরি করছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
টিআর/এএ