নিহত ব্যক্তির নাম মেহেদি হাসন টিপু। সে যশোরের বাঘারপাড়া থানাধীন অন্তরামপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকির ছেলে ও নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
পুলিশ জানায়, গত ৯ নভেম্বর বিকেলে বাসা থেকে বের হওয়ার পরই নিখোজ হয় পোশাক শ্রমিক মেহেদি হাসান টিপু। পরে অনেক খোজ করেন না পেয়ে এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় নিখোজের একটি সাধারন ডায়েরি দায়ের করেন।
এদিকে (১২ নভেম্বর) সকালে নিশ্চিন্তপুর এলাকায় স্থানীয় একটি সড়কের পাশে ৭ টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দিনই বিকেলে নিহতের স্ত্রী থানায় এসে তার পরিচয় শনাক্ত করেন। পরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে পুলিশ মানিক নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে একই এলাকার পাশের একটি ঝোপ থেকে নিহতের মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। জিঙ্গাসাবাদে আটক ব্যক্তি হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িত বাকি আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের এখনো গ্রেফতার করা সম্বভ হয়নি। এছাড়াও আটক ব্যক্তি পোশাক শ্রমিককে হত্যার পর মৃতদেহ ৮ টুকরো করে লাশ ফ্রিজে রেখে দেওয়ার বিষয়টিও স্বীকার করেছে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৭ ঘণ্টা, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮
এমএমএস