শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক নাগরিক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। ‘উগ্রবাদ-সহিংসতা প্রতিরোধে তরুণদের সম্পৃক্তকরণ’ শীর্ষক এ নাগরিক সংলাপের আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।
মনিরুল ইসলাম বলেন, এরইমধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করছি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে এবং নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে। কেউ ফৌজদারি অপরাধে লিপ্ত না হলে এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না হলে কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মানুষের সচেতনতা বেড়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে আমাদের নানাবিধ প্রস্তুতি রয়েছে। এর আগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে, এর ফলে জঙ্গি সংগঠনগুলোর অপারেশনাল ক্যাপাসিটি কমে গেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। তবে এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কারণ নেই, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।
বুধবার (১৪ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সহিংসতার ঘটনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি প্রধান বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী মিছিল-সমাবেশ করে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন বা জমা দেওয়ার সুযোগ নেই। যেকোনো ‘অবৈধ জনতা’ ছত্রভঙ্গ করার সক্ষমতা ডিএমপির ছিলো। বড়সড় সমাবেশ ডিসপাচ করার আমাদের যে সক্ষমতা, তার বিশ্বজুড়ে সুনাম রয়েছে।
‘সেদিন আমরা শক্তি প্রয়োগ করতে চাইলে সেটা মেটার অব মিনিটের ব্যাপার ছিলো। আমরা তা না করে তাদেরকে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা হেলমেটসহ লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করেছিল। লাঠিগুলোতো আর মাটির নিচ থেকে আসেনি। পুলিশের দু’টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং পুলিশের গাড়ির উপর উঠে যে লাফালাফির দৃশ্য আপনারা দেখেছেন এটি কোনোভাবেই আইনি কর্মকাণ্ড নয়’।
তিনি বলেন, সেখানে অনেক মানুষ ছিল, কিন্তু যারা সুনির্দিষ্টভাবে হামলায় জড়িত ছিলো ফুটেজ দেখে তাদেরকে শনাক্ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র তাদেরকে কেন্দ্র করেই তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিনা কারণে কাউকে এই মামলায় আসামি করা হয়নি।
‘কথা দিচ্ছি, শুধুমাত্র ফোজদারি অপরাধ সংগঠিত হলেই আমরা আইন প্রয়োগে বাধ্য হবো’, যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৮
পিএম/জেডএস