তবে বাংলাদেশের ওপর ঝড়টির তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। ফলে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলো থেকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’ পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম দিকে সরে গিয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে নাগাপত্তমের কাছ দিয়ে ভারতের তামিল নাড়ু উপকূল অতিক্রম করে। এটি আরো পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে।
এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলো সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
শনিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, এ সময় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত হতে পারে। আর শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদ-নদী অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন এলাকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটারের মধ্যে বিরাজ থাকবে।
এদিকে ‘গাজা’ বাংলাদেশে তেমন প্রভাব না ফেললেও তামিল নাড়ুর ওপর দিয়ে তাণ্ডব চালিয়েই দুর্বল হয়েছে। ঝড়ের আঘাতে রাজ্যটিতে অন্তত ২০ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তামিল নাড়ুতে আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার।
তবে এর আগেই নাগাপাত্তিনাম, পুডুকোত্তাই, রমনাথাপুরাম, তিরুবারুরসহ ছয়টি জেলার ৩শ’টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৮১ হাজারের বেশি মানুষ নিন্মাঞ্চল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরইমধ্যে হতাহতদের জন্য সাহায্য ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস