শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজ আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক, সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা, নারী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মমতাজ বিলকিস বানু, সাধারণ সম্পাদক শারমিন রিনভি প্রমুখ।
মানববন্ধনে নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক বলেন, #মি টু হচ্ছে সারা বিশ্বব্যাপী যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের আন্দোলন। আমাদের আন্দোলন নিপীড়কদের বিরুদ্ধে, কোনো পুরুষের বিরুদ্ধে নয়। এ অপরাধীরা মানুষ না, তারা মানুষের মতো প্রাণী। তাদের রুঁখতে হবে। অপরাধী যেই হোক তাকে ভয় পেলে চলবে না। তাদের সামাজিকভাবে বর্জন করতে হবে। সমাজের যেন কোনো অপারাধী মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।
তিনি বলেন, নারী-পুরুষ সবাই এ দেশের নাগরিক। তাই নারীদের পথ চলাকে নিরাপদ করতে হবে। সমাজে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এ যৌন নিপিড়নের শিকার হচ্ছে। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। সমাজে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। আজ নারীরা ঘরে ও বাইরে নিরাপদ নয়। নারীদের জন্য ঘরে-বাইরে ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সমাজে দিন দিন যৌন নিপীড়নের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এখন চুপ করে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের দায়িত্ব নিয়ে সমাজের প্রতিটিদল নাগরিকতা সচেতন করেত হবে। যেখানে নিপীড়নের ঘটনা ঘটবে সেখানেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাঠ্যপুস্তকে এ বিষয় সংযুক্ত করতে হবে। নারীদের তাদের ন্যায্য সম্মান দিতে হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের পাশাপাশি সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
মানববন্ধনে জানানো হয়, এ পর্যন্ত ৯ নারী ও একজন পুরুষ এই নিপীড়নের কথা শিকার করেছেন। এছাড়া প্রকাশক, অধ্যাপক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। প্রাশ্চাত্যে এ আন্দোলন শুরু হয়েছে। এরপর হলিউড, বলিউডসহ বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের ঘটনা পরম্পরা প্রকাশ পাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৮।
জিসিজি/এসএইচ