শনিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে রায়পুরা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাফিউল করিম রাফি বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দু’টি করেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে মেঘনা নদীর চরমধুয়া শিকদার বাড়ি ঘাট ও বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের সোবাহানপুর ঘাট থেকে ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ ওই ১৩ জনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সংঘর্ষের পর রাতে নৌকায় করে পালানোর সময় মেঘনা নদীর চরমধুয়া শিকদার বাড়ি ঘাট থেকে বাঁশগাড়ি বালুয়াকান্দি গ্রামের ডা. আমিনুল ইসলাম, লিটন, মঙ্গল মিয়া, মাইনুদ্দিন, রাসেল, মামুন মিয়া, রুবেল মিয়া, সালাউদ্দিন, সবুর উদ্দিন ও জিয়াউদ্দিনকে আটক করে পুলিশ। ওই সময় তাদের কাছ থেকে একটা দুইনালা বন্দুক, ৬টা একনালা বন্দুক, একটা পাইপগান ও একটি কার্তুজ জব্দ করা হয়।
অপরদিকে, মেঘনা নদীর বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের সোবাহানপুর ঘাট থেকে গয়েছ আলী, কামাল মিয়া, রানা মিয়া, মোহাম্মদ গজ আলীকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটা এক নালা বন্দুক ও ৬টি কার্তুজ জব্দ করা হয়। তারা প্রত্যেকেই চরমধুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন উল কাদির বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেছে। হত্যার ঘটনায় এখনো থানায় কেউ মামলা দায়ের করেনি। আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৮
আরএ