এইতো ছিল একজন আজিজুল আলমের কথা। তবে প্রায় এক বছর ধরে এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহার করছেন অসংখ্য পথচারী।
উপরে উঠে দেখা গেছে, ব্রিজটির অবস্থা খুবই শোচনীয়। এক পলক দেখেই বোঝা যায় দীর্ঘদিন সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি জনগুরুত্বপূর্ণ এই ফুটওভার ব্রিজে। জাহাজের প্লেট দিয়ে তৈরি করা পাটাতনটির বিভিন্ন অংশে মরিচা ধরে ফুটো হয়ে গেছে। সেই ফুটো দিয়ে ব্রিজের ওপরে দাঁড়িয়েই নিচের রাস্তার যানবাহন দেখা যাচ্ছে অনায়াসে।
বেশকিছু জায়গায় বড় বড় ভগ্নাংশ তৈরি হয়েছে। পরাপারের সময় পথচারীদের পায়ের চাপে যে কোনো সময় তা ভেঙে যেতে পারে। ঘটতে পারে প্রাণহানির মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ফুটওভার ব্রিজে ওঠা-নামার জন্য দু’ধারে সিঁড়ি রয়েছে। তবে পাত ক্ষয় হয়ে যাওয়ায় সেই সিঁড়িও পিচ্ছিল হয়ে গেছে। দু’পাশে ঝুলছে বিদ্যুতের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তার।
মার্কেট ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান থাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জনসমাগম থাকে শহরের এই প্রাণকেন্দ্রে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে বেশিরভাগ মানুষই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করেন। বিশেষ করে নারী ও শিশুরাই ফুটওভার ব্রিজটি বেশি ব্যবহার করেন। তাই বড় দুর্ঘটনা এড়াতে ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সবাই।
শামীমা ইয়াসমিন নামের এক গৃহবধূ বাংলানিউজকে বলেন, নিচের সড়কে বেরিকেড থাকায় একপাশ থেকে অপরপাশ যাওয়ার জন্য ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহার না করা ছাড়া বেশিরভাগ সমই উপায় থাকে না। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে ব্রিজটি ততই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। পাটাতনের অনেকাংশে মরিচা ধরে ক্ষয় হয়ে গেছে। খেয়াল না করলে সেখানে পায়ের চাপা লেগে ভেঙে যেতে পারে। এতে পথচারীরা পড়ে গিয়ে প্রাণহানিও ঘটতে পারে। কিন্তু সংস্কারের ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের কোনো নজর নেই।
সাইফুল ইসলাম নমের আরেক পথচারী বলেন, শহরে ধারণক্ষমতার বেশি অটোরিকশা চলাচলের কারণে দিনের ব্যস্ততম সময়ে এই সড়কে যানজট লেগেই থাকে। তাই নিচ দিয়ে হাঁটা বা রাস্তা পারাপার হওয়া কঠিন। এজন্যও অনেকে ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহার করেন। কিন্তু ব্রিজটির পাটাতন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক ভয়ে ভয়ে এর ওপর দিয়ে হাঁটতে হয়। আর ক্ষয় হয়ে যাওয়ায় দু’পাশের সিঁড়িও পিচ্ছিল হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই সেখান দিয়ে উঠতে বা নামতে গিয়ে অনেকই পড়ে গিয়ে ব্যথা পান। তাই জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে, ফুটওভার ব্রিজটি সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বাংলানিউজকে বলেন- বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবগত রয়েছেন। এ নিয়ে পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই ব্রিজটি সংস্কার করা হবে বলেও জানান রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
এসএস/জেডএস