শনিবার (১৭ নভেম্বর) দিনগত রাতে মল্লিকার স্বজনরা নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে এসে তার মরদেহটি শনাক্ত করেন।
রোববার (১৮ নভেম্বর) সকালে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, নিহত মল্লিকা নেত্রকোনা সদরের কাইলাটি ইউনিয়নের চাপান গ্রামের হৃদয় হোসেন জুয়েলের তৃতীয় স্ত্রী।
নিহতের বাবা আব্দুল মান্নানের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, হৃদয় মাদকাসক্ত একজন মানুষ। মাদকসেবনের জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সংসারে অভাব-অনটন ও কলহ লেগেই থাকতো। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে মল্লিকা পরিবারের অমতে হৃদয়কে বিয়ে করেছিলো।
হত্যার দুই তিনদিন আগে হৃদয় নেত্রকোনায় তার বাড়িতে আসার কথা বলে স্ত্রী মল্লিকাকে ঢাকা থেকে নিয়ে বের হন। পরে শনিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের দাপুনিয়া এলাকার একটি ফসলি জমি থেকে মল্লিকার মরদেহ উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এসএম আশরাফুল আলম ও মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল (সদর সার্কেল) খান।
এদিকে মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় মান্নান ওই রাতে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে মেয়ে জামাই হৃদয়সহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান ওসি বোরহান উদ্দিন।
** নেত্রকোনায় তরুণীর মরদেহ উদ্ধার
বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
জিপি