শনিবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সংলগ্ন সড়কে দেখা যায়, হরেক রকমের খেলনা ফেরি করছে শরীফ। একটি লম্বা লাঠিতে নানা রঙ-বেরঙের বাঁশি, ফুল-পাখি ও খেলনা-সামগ্রী সাজানো।
তার চারপাশে জড়ো হয়েছে শিশু-নারীসহ অনেকে। কেউ খেলনার দরদাম করছেন, কেউ দেখছেন পরখ করে। শরীফ দাম বলছে, কারও পছন্দ হলে কিনছে, নতুবা ফেরি নিয়ে শরীফ হেঁটে চলেছে।
বাংলানিউজ কথা বলছিলো শরীফের সঙ্গে। তারা ৪ ভাই ৪ বোন। সে সবার ছোট। বাবার নাম সিরাজ মিয়া, মায়ের নাম রহিমা। গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে হলেও তারা এখন থাকে পুরান ঢাকার হোসনি দালান এলাকায়। দরদামের বাইরে তেমন বেশি কথা বলছিলো না শরীফ। এই বয়সে ফেরি নিয়ে কেন, প্রশ্ন করলে শরীফ বলে, ‘ভাই-বোনরা পড়াশোনা করে আমিও পড়াশোনা করি, এর বাদে ফুয়াজির (ফুফা) লগে এসব বেচি (বিক্রি করি)। ফুয়াজি চকবাজার থেকে এই খেলনাগুলি কিনে দেয়। পরে আমি এই লাঠিতে সাজিয়ে মেডিকেলসহ আশেপাশে ঘুরে ঘুরে বেচি। ’
শরীফের প্রতি খেলনার দাম ১০ টাকা। শনিবার বিক্রি ভালো হয়নি, মাত্র ৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে।
‘তোমার কি এসব খেলনা দিয়ে খেলতে ইচ্ছে করে না?’ শরীফের উত্তর, ‘এসব খেলনাতো বিক্রি করার জন্য। আমি খেললে তো সেগুলো নষ্ট হইয়া যাইবো, আর কেউ কিনবো না, তাই খেলি না। মাঝে মাঝে বেলুনের বাঁশি বাজাইয়া খেলনা বিক্রি করে থাকি। ’
মা-বাবা কী করেন, তাকে কেন ফেরি করতে হচ্ছে, এমন প্রশ্ন করলেও শরীফ কিছু বলছিলো না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/