রোববার (১৮ নভেম্বর) সকালে অভিযান চালিয়ে বিদ্যাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি সদরের কাইলাটি ইউনিয়নের চাপান গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে।
এর আগে শনিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের সহায়তায় ওইদিন রাতে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে এসে ওই তরুণীর বাবা আব্দুল মান্নান মরদেহটি তার মেয়ে মল্লিকার বলে শনাক্ত করেন।
মান্নান ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার ভেদীকুড়া গ্রামের চারুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
মরদেহ শনাক্তের পর ঘটনার দিনগত মধ্যরাতে নেত্রকোনা মডেল থানায় মান্নান মল্লিকার স্বামী হৃদয় হোসেন জুয়েলসহ তার পরিবারের পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় হৃদয়ের বড়ভাই বিদ্যাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন খান বাংলানিউজকে বলেন, নিহত মল্লিকা মাদকাসক্ত জুয়েলের তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের চার বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। বিভিন্ন কারণে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপড়েন চলছিল।
গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায় বসবাস করতেন ওই দম্পতি। দীর্ঘদিন পর পর তারা নেত্রকোনায় বেড়াতে আসতেন। ঢাকায় মল্লিকা গার্মেন্টসে চাকরি ও হৃদয় ভাঙাড়ি ব্যবসা করতেন। প্রেমের সম্পর্ককে সামাজিক রূপ দিতে পরিবারের সদস্যদের অমতে বিয়ে করে সংসার করেছিলেন তারা।
মল্লিকার বাবা মান্নানের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, মল্লিকাকে হত্যার জন্যই নেত্রকোনায় নিয়ে যাওয়া হয়। নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে তাকে। মরদেহটি উদ্ধারের সময় শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এর মধ্যে মল্লিকার মুখমণ্ডল, গলা ও বুক পাজরে দাঁতের ক্ষতচিহ্ন উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
আরএ