রোববার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার চুরখাই এলাকায় প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতালটিতে সিজারিয়ানের মাধ্যমে ফুটফুটে এই চার নবজাতকরা ভূমিষ্ঠ হয়।
মা ও তিন নবজাতক সুস্থ থাকলেও শ্বাসকষ্ট রয়েছে আরেকটি নবজাতকের।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ঝাটিয়া ইউনিয়নের তেলিহাতি গ্রামের দিনমজুর সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী লিপি আক্তার এদিন সকালে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে বিকেলে অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে তিনি চারটি ছেলে নবজাতক প্রসব করেন।
রাত ৮টার পর এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সেখানে ভিড় জমে। নবজাতকগুলোকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গরম কাপড়ে ঢেকে হিটার দিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।
নবজাতকদের ফুফু ঝর্ণা খাতুন বাংলানিউজকে জানান, চার সন্তান প্রসব করে মা লিপি আক্তার অনেক খুশি। বাবা সিরাজুল ইসলামের মুখেও হাসির ঝিলিক। তারা নিজেদের সন্তানদের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
হাসপাতালের শিশু বিভাগের মেডিকেল কর্মকর্তা শায়লা শাহাদত বাংলানিউজকে জানান, নবজাতকগুলো প্রিম্যাচিউর লো বার্থওয়েট। তাদের ওজন ১ দশমিক ৫ থেকে ১ দশমিক ৮ কেজি। অথচ সাধারণত নবজাতকসমূহ আড়াই কেজি হওয়ার কথা।
তিনি জানান, নবজাতকদের মা সুস্থ থাকলেও তিনটির শিশু’র অবস্থা মোটামুটি ভালো। অন্য নবজাতকটির শ্বাসকষ্ট রয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এম করিম বাংলানিউজকে জানান, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা না গেলে বোঝা যাবে না নবজাতকগুলো কেমন থাকবে। ৭২ ঘণ্টা টিকে গেলে নবজাতকদের ঝুঁকিমুক্ত বলা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
এমএএএম/এএটি