এসময় ডাকাতদের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হকসহ চার পুলিশ আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ অবস্হায় দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের ভারইমারি জোতগাজী মোড়ের চুরিমালা ঘাট নামক স্হানে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোগাইল গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মফিজুল ইসলাম মাসুদ (৪০) ও ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মৃত মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৮)।
বেলা সাড়ে ১১টায় পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) জহুরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ছলিমপুর ইউনিয়নের ভারইমারি জোতগাজী মোড়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে একদল ডাকাত। এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে ডাকাতরা।
এসময় ওই ককটেল বিস্ফোরণ হলে আমিসহ ঈশ্বরদী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহীম খাঁন, তিন কনেস্টবল শাহজাহান আলী, সামিউল ইসলাম, গৌতম কুমার আহত হয়।
একপর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি চালালে দুই ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। পরে পুলিশ ধাওয়া করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের গ্রেফতার করে। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে পাবনা জেনারেল মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছে থাকা একটি রামদা, তিনটি চাইনিজ কুড়াল, একটি লোহার ঘর ভাঙা শাবল, ককটেল বোমার বিস্ফোরিত অংশ, একটি ধারালো ক্রিচ জব্দ করে পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী বাংলানিউজকে জানান, আটক মাসুদের নামে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও হত্যা মামলাসহ সাতটি মামলা রয়েছে। এবং ফারুক এর নামে পাবনা, ঈশ্বরদীসহ ডাকাতি, হত্যাসহ আটটি মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারেও একটি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। চিকিৎসা শেষে আদালতের মাধ্যামে তাদের পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
আরএ