ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচনের আগে আসছে না রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সিদ্ধান্ত 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
নির্বাচনের আগে আসছে না রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সিদ্ধান্ত  রোহিঙ্গা শরণার্থী (ফাইল ফটো)

কক্সবাজার: নির্বাচনের আগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আসছে না। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। রোহিঙ্গারা রাজি হলেই আমরা তাদের মিয়ানমারে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।

প্রত্যাবাসন কার্যক্রম স্থগিত ও নির্বাচনের আগে প্রত্যাবাসন হচ্ছে কিনা- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সোমবার (১৯ নভেম্বর) বাংলানিউজকে একথা বলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আবুল কালাম।

তিনি বলেন, আমি স্থগিত বলিনি।

কারণ গত বৃহস্পতিবারের (১৫ নভেম্বর) পরতো আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন করে আর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা এখনো আগের সিদ্ধান্তেই আছি। মাঠ পর্যায়ে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রোহিঙ্গারা রাজি হতেও পারে, তারা রাজি হলেই আমরা তাদের মিয়ানমারে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।

‘সরকার যেহেতু এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত, তাই আপাতত ধরে নেওয়া যায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে নির্বাচনের আগে নতুন আর কোনো সিদ্ধান্ত আসছে না। ’

তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত বিদেশি সংস্থা ও সরকারের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনের আগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করা যাচ্ছে না। এমনকি নির্বাচনের পরেও প্রত্যাবাসন শুরু করা যাবে কিনা তা নিয়েও সন্দিহান। কারণ মিয়ানমার যতদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি না করবে, ততদিন তারা স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরতে চাইবেন না।

মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে আসা শুরু করে রোহিঙ্গারা। এরপর কয়েক দফায় প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। শুরু থেকেই তাদের আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার ও দেশীয় উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসাসহ সব ধরনের মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে সরকার।

পাশাপাশি নানা কূটনৈতিক তৎপরতা শেষে তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়। ওয়ার্কিং গ্রুপের সিদ্বান্ত অনুযায়ী নভেম্বরের মাঝামাঝি উখিয়ার জামতলী ও টেকনাফের উনচিপ্রাং শরণার্থী শিবির থেকে ৪৮৫ পরিবারের মধ্যে প্রথম দফায় ২ হাজার ২৬০ জনকে ফেরত পাঠানো কথা ছিলো। এ জন্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও টেকনাফের কেরুনতলী এলাকায় দু’টি ট্রানজিট ক্যাম্পও তৈরি করা হয়।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার চুক্তি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম রোহিঙ্গা দলকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর কথা ছিলো। কিন্তু রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহের কারণে শেষ পর্যন্ত তা শুরু করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
ওএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।