এর আগে দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এবং মরহুমের প্রিয় কর্মস্থল জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসসের পুরানা পল্টন কার্যালয়ে মরদেহ আনা হয়। সেখানে তার কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান তার সহকর্মীরা।
জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় জানাজা শেষে শাহরিয়ারের মরদেহবাহী গাড়ি নরসিংদীর রায়পুরার উদ্দেশে যাত্রা করে। সেখানে পৌঁছানোর পর আরেক দফা জানাজা শেষে সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
এর আগে গত শনিবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন শাহরিয়ার। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ১৪ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
মরহুমের প্রথম জানাজা সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিআরইউ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ডিআরইউ’র প্রতিষ্ঠাকালীন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।
এরপর শাহরিয়ারের মরদেহ দুপুর সোয়া ১২টায় তার প্রিয় কর্মস্থল জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসস’র পুরানা পল্টন কার্যালয়ে শেষবারের মতো আনা হয়। সেখানে বাসস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সংস্থার সদ্য প্রয়াত ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে মরহুমের একমাত্র ছেলে সাদমান শহীদ বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার প্রদ্যুৎ শ্রী বড়ুয়া জানান, বাসস কার্যালয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রয়াত শাহরিয়ার শহীদের মরদেহ দুপুর ১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে নেওয়া হয়। এখানে বাদ জোহর মরহুমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ,বাসস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, বাসস-এর সাবেক প্রধান সম্পাদক গাজীউল হাসান খান ও আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার সাহা, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ শরীক হন।
শাহরিয়ার শহীদ খ্যাতিমান সাংবাদিক ও অধুনালুপ্ত ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ টাইমসের সম্পাদক মরহুম একেএম শহীদুল হকের ছেলে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য ও ডিআরইউ’র প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহি কমিটির সদস্য শাহরিয়ার বহুবিধ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বেশ ক’টি প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণ করেন।
কর্মজীবনেও রিপোর্টার হিসেবে শাহরিয়ার রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বিটসহ বিভিন্ন বিটে কাজ করেছেন। একসময় তিনি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের স্ট্রিংগার ছিলেন। অঞ্চলভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক ৩০টিরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
এসআরএস/