সোমবার (১৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহানগরের বয়রার (২৫০ বেড হাসপাতালের কাছে) ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ইস্মিতা খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার কিসমত ফুলতলা গ্রামের অশ্মিনী মণ্ডলের মেয়ে।
জানা যায়, ইস্মিতার সঙ্গে একই ভাড়া বাড়িতে থাকেন তার বোন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স সুস্মিতা মণ্ডল। রাত ৮টার দিকে সুস্মিতা বাড়িতে ফিরে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে আশপাশের লোকজনের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ইস্মিতার মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ইস্মিতা আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। তাতে লেখা আছে, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার পোস্টমর্টেম করো না। আমার মরদেহের যে অঙ্গগুলো কাজে লাগে তা আমি ২৫০ বেড হাসপাতালে দান করে গেলাম। আমার টাকা-পয়সাগুলো মাকে দিয়ে গেলাম। তার ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতা আমার নেই। ইতি তোমার অবাধ্য মেয়ে। বি. দ্র. শান্ত মাথায় মৃত্যুর পথ বেছে নিলাম। সবাইকে ক্ষমা করে গেলাম।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
এমআরএম/এমএএম/আরবি/