তিনি বলেন,আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে সন্তুষ্ট নই। ইতোমধ্যে কয়েকবার আমরা সিইসির প্রতি অনাস্থা জানিয়েছি।
রোববার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন কামাল।
সিইসির উদ্দেশ্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, আগে যাই করেছেন, এখন থেকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুন। কেন আপনি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে আদেশ দিচ্ছেন, তা খুলে বলুন। তথ্য সহকারে বলুন, যাতে আমরা যাচাই করে দেখতে পারি। আপনি কি যুক্তিসঙ্গত কারণে লোকদের গ্রেফতার করতে নির্দেশ দিচ্ছেন, নাকি সরকারের নির্দেশে করছেন? যদি দ্বিতীয়টি সত্য হয় তাহলে আমরা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
ড. কামাল হোসেন বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পরিবর্তে একজন
বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তিকে এ পদে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। সিইসি একজন বয়স্ক মানুষ ও সিনিয়র কর্মকর্তা। আমি আগেও বলেছি আপনার ওপর আমাদের কোনো আস্থা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গণভবন, মন্ত্রীদের বাসভবন ও সরকারি অফিস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এরপরও নির্বাচন কমিশন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
এএ