রোববার (২৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন- লোক প্রশাসন বিভাগের ইয়া রাফিউ শিকদার, মুস্তাফিজুর রহমান, সোহেল রানা এবং বাংলা বিভাগের আসিফ আহমেদ ও সজিব গাজী।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক কোর্সের শিক্ষার্থী জাহিদুর রহমান অর্ণব।
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, রোববার দুপুরে জাহিদ ও তার বান্ধবী ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসেন। দুপুর দুইটার দিকে তারা বোটানিক্যাল গার্ডেনের দিকে গেলে পাঁচজন শিক্ষার্থী তাদের পথ রোধ করে। পরে শিক্ষার্থীরা তাদের দুই জনকে বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভেতরে নিয়ে যায়। এ সময় তার কাছে থাকা কিছু টাকা এবং তার বান্ধবীর কানের দুল ছিনতাই করে। পরে তাকে মারধর করে এবং ২৫ হাজার টাকা দাবি করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ওই পাঁচ শিক্ষার্থী বলেন, আমরা বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভেতরে হাঁটছিলাম। ওই দুইজনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে তাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে তারা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে দাবি করে। বিভাগ, ব্যাচ ও হলের নাম জিজ্ঞাসা করলে তারা উত্তর দিতে পারেনি। এ সময় জাহিদ ভয়ে দৌঁড় দেয়। পরে জাহিদের পরিচিত ক্যাম্পাসের সিনিয়র ভাইয়েরা এসে আমাদের মারধর করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বাংলানিউজকে বলেন, আটকরা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলো বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা নোটিশের জবাবও দিয়েছে।
তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। সোমবার (২৬ নভেম্বর) ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শাস্তির ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮ৎ
এনটি