মন্ত্রিসভার একজন সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন আগামী ৩ ডিসেম্বর এই সরকারের মন্ত্রিসভার শেষ মিটিং।
সরকারের নীতি-নির্ধারণী সর্বোচ্চ ফোরাম হলো মন্ত্রিসভা, মন্ত্রিপরিষদের এই সভায় আইন অনুমোদন, বিভিন্ন নীতি গ্রহণ ও অনুমোদন করা হয়ে থাকে।
সোমবারের সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বাংলানিউজকে বলেন, এদিন ছিল এই সরকারের মন্ত্রিসভার ২১তম সভা। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অাগামী ৩ ডিসেম্বরই এ সরকারের মেয়াদের মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠক।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
তার নেতৃত্বে বর্তমান মন্ত্রিসভায় ৩৩ জন মন্ত্রী, ১৭ জন প্রতিমন্ত্রী এবং এব্ং দুই জন উপ-মন্ত্রী আছেন। এদের মধ্যে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী রয়েছেন চার জন।
মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে রয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এছাড়াও মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচজন উপদেষ্টাও রয়েছেন।
গত ৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টেকনোক্র্যাট কোটায় নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রীরা পদত্যগপত্র দেন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
এই চার মন্ত্রীর বিষয়ে কোন আপডেট আছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের বলেন, না আপডেট নেই। এটাতো আমার হাতে নেই।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে তারা (চার মন্ত্রী) উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
অনানুষ্ঠানিক আলোচনায়ও প্রধানমন্ত্রী এই চারজনের বিষয়ে কিছু বলেননি বলে জানান মন্ত্রিসভায় অংশ নেওয়া একজন সদস্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮/আপডেট ১৪৪৮ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এএ/এইচএ/