রোববার (২৫ নভেম্বর) দিনগত রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ গ্রুপের ৮ সক্রিয় সদস্যকে আটক করে র্যাব।
আটকরা হলেন- আরাফাত আজম (৩০), রাশেদ আলম বাঁধন (২৮), আফজাল আলী (৩৭), মাহাদী হাসান (২৩), রাদিউজ্জামান হাওলাদার অনিক (২৭), জালাল উদ্দিন শোভন (২৮), জারির তাইসির (২৬) ও আসিফুর রহমান (২৮)।
সোমবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারি, এই গ্রুপে ৩০ থেকে ৩৫ জন সদস্য রয়েছে। সংগঠনটি শুভাকাঙ্ক্ষী ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা অর্থে পরিচালিত হয়। গ্রুপের সদস্যরা শিক্ষিত, স্বচ্ছ ও পেশাজীবীদের তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করতো। মূলত কার্যক্রমের জন্য অর্থের যোগানদানের জন্য তাদের সদস্যপদ দিতো।
মুফতি মাহমুদ বলেন, জেএমবির তামিম গ্রুপের সক্রিয় সদস্য বাশারুজ্জামান চকলেটের সঙ্গে এই গ্রুপের অন্তত তিনজন সদস্যের যোগাযোগ ছিল। যারা ২০১৪-২০১৫ সালে জেএমবিতে যোগ দেয়। এরা সবাই উচ্চশিক্ষিত, স্বনামধন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতো।
গত ৭-৮ মাস নজরদারির পর রোববার রাতে র্যাবের ৮টি অভিযানিক দল তাদেরকে আটক করে। সংগঠনটি আমিরের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে। আটক ৮ জনের মধ্যে ৩ জন সাবেক এবং বর্তমানে ২ জন আমির রয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আফজাল আলী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুফতি মাহমুদ জানান, জেএমবির এই সদস্যরা বিভিন্ন পেশায় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। তারা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করতে পারে বলে আমাদের ধারণা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
পিএম/জেডএস