প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০১৮’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, সংশোধিত আইনে এক ব্যক্তি কোম্পানির কনসেপ্ট আনা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে এক ব্যক্তি কোম্পানির সংজ্ঞায় বলা হয়, এক ব্যক্তি কোম্পানি বলতে এক ব্যক্তির মাধ্যমে গঠিত কোম্পানিকে বোঝানো হচ্ছে।
নতুন করে প্রাইভেট কোম্পানির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি কোম্পানি ছাড়া এর সদস্য সংখ্যা কোম্পানির চাকরিতে নিযুক্ত ব্যক্তিরা ছাড়া ৫০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। এতে প্রাইভেট কোম্পানির মধ্যে এক ব্যক্তি কোম্পানিও চলে আসবে।
তবে শর্ত থাকে যে, যদি দুই বা ততোধিক ব্যক্তি যৌথভাবে কোনো কোম্পানির এক বা একাধিক শেয়ারহোল্ডার হয়ে থাকেন তাহলে তারা এই সংজ্ঞার উদ্দেশ্য পূরণে একজন সদস্য বলে বিবেচিত হবেন। প্রাইভেট কোম্পানির সংজ্ঞায় এই অংশটা ইনসার্ট (অন্তর্ভুক্ত) করা হয়েছে।
সংশোধনের কারণ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা ‘ইজ অব ডুইং বিজনেসে’ (সহজে ব্যবসা করা) অনেক পেছনে। বিষয়টি যেন সহজতর হয় সেজন্যই এটা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা ইনডেক্সে যেন আরও এগোতে পারি। এখন যেমন ১৭৬/১৭৭-এ আছি, সরকারের টার্গেট হলো, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এটা ডাবল ডিজিটের মধ্যে অর্থাৎ ১০০ এর মধ্যে নিয়ে আসা।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যা ৫০ লাখ হলেও সেখানে ১০ লাখ ছোট ছোট কোম্পানি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস