সোমবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০১৮’র খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান আইনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের পরিচালনা পর্যদে কমপক্ষে পাঁচজন এবং সর্বোচ্চ সাতজন বরেণ্য ব্যক্তিকে সরকার মনোনীত করতো।
এখন পরিবর্তন করে সরকার কর্তৃক মনোনীত ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষক, একজন চলচ্চিত্র নির্মাতাসহ কমকক্ষে চারজন এবং সর্বোচ্চ ছয়জন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বরেণ্য ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে। এর ফলে এ ইনস্টিটিউটের শিক্ষক প্রতিনিধি নিশ্চিত হবে, সঙ্গে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সম্পৃক্ততা থাকবে।
পরিচালনা পর্যদে সরকার মনোনীত ‘বিশিষ্ট সাংবাদিক’ শব্দ পরিবর্তন করে ‘গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব’ শব্দ সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিচালনা পর্যদে সরকার মনোনীত সদস্যদের মেয়াদ তিনবছর থাকলেও তা কমিয়ে দুই বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ গভর্নিং বডির মেয়াদ কমিয়ে দুই বছর করা হচ্ছে।
এছাড়া সরকার মনোনীত ‘বেসরকারি গণমাধ্যমের একজন প্রতিনিধির’ জায়গায় ‘বেসরকারি’ শব্দটি বিলুপ্ত করে ‘সরকার কর্তৃক মনোনীত গণমাধ্যমের একজন প্রতিনিধি’ করা হয়েছে।
সংশোধনীতে চলচ্চিত্রের সংজ্ঞা কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে চলচ্চিত্রের সংজ্ঞা বলা ছিল- সেলুলয়েড, এনালগ, ডিজিটাল বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে নির্মিত চলচ্চিত্র। এখন সেখান থেকে ‘এনালগ’ শব্দটি বাদ দিয়ে নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, চলচ্চিত্র অর্থ সেলুলয়েড, ডিজিটাল বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে নির্মিত চলচ্চিত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
এমআইএইচ/ওএইচ/