ছৈয়দুল টেকনাফের বাহারছড়া হাজমপাড়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে। তার পরিবারের অভিযোগ, বিএনপি সমর্থক হওয়ায় কারাগারে থেকেও পুলিশের ‘গায়েবি মামলা’ থেকে রেহাই পাননি ছৈয়দুল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১ ডিসেম্বর টেকনাফের শামলাপুর মেরিন ড্রাইভ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন ওই এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে হাবিব উল্লাহ। এ ঘটনায় এজাহারনামীয় ২৩ জনসহ আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলাগুলো হলো- জিআর-৭৫৮/১৮, জিআর-৭৫৯/১৮ ও জিআর-৭৬০/১৮। তিন মামলায়ই ১৩ নং ক্রমিকে আসামি দেখানো হয়েছে কারাবন্দি ছৈয়দুলকে।
পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’, ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ছিনতাইয়ের চেষ্টা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলায় গত ১১ এপ্রিল থেকে কারাবন্দি ছৈয়দুলকে আসামি করায় ক্ষুব্ধ তার পরিবার। স্বজনদের দাবি, বিএনপি সমর্থক হওয়ার কারণেই কারাগারে থেকেও পুলিশের ‘গায়েবি মামলা’ থেকে রেহাই পেলেন না ছৈয়দুল।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার জেলা জেল সুপার বজলুর রশীদ আখন্দ বাংলানিউজকে বলেন, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের হাজমপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে ছৈয়দুল ইসলাম টেকনাফ থানার জিআর মামলা নং ১৮১/১৮ এর আসামি হিসেবে প্রায় ৮ মাস ধরে কারাবন্দি। কারাগারে থেকে বাইরের কোনো ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার সুযোগ নেই।
একজন কারাবন্দি কিভাবে আরেকটি ঘটনায় আসামি হলেন তা ‘বিস্ময়ের ব্যাপার’ বলেও মন্তব্য করেন জেল সুপার।
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, অনেক সময় আসামির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মামলায় আসামি করা হয়। তবে এ বিষয়টি কিভাবে ঘটেছে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮
এসবি/এইচএ/