পর্যটন শহর কক্সবাজারের বিমানবন্দর সড়কের মোড়েই চোখে পড়বে এ শিল্পকর্মটি। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পৌরসভা যৌথভাবে শহরের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় এ শিল্পকর্মটি তৈরি করা হয়েছে।
কক্সবাজার নিভিল সোসাইটির সহ-সভাপতি প্রকৌশলী কানন পাল বলেন, পরিবেশ আসলেই মানুষকে বেশ প্রভাবিত করে। তার জলন্ত উদাহরণ এ স্থানটি। কিছুদিন আগেও শহরের প্রধান সড়ক থেকে বিমানবন্দর সড়কের প্রবেশ মুখটি ছিল পথচারীদের জন্য বড্ড বিরক্তির। অল্প ক’দিনের ব্যবধানে সেই স্থানটি এখন মানুষের কাছে হয়ে উঠেছে স্বস্তির। যে স্থান দিয়ে মানুষ নাকে রুমাল চেপে যেত, সেই স্থানেই এখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছে সবাই।
কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ফোরকান আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, বিমানবন্দর সড়ক হওয়ায় এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই ভিভিআইপিদের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়া এর পাশেই আছে কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেই বিমানবন্দরটির প্রবেশমুখেই এতোদিন ছিল ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। যে কারণে দুর্গন্ধে আশপাশের পরিবেশ ভারী ছিল। সেই দূষণ থেকে পর্যটন নগরীর মানুষকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি শহরের সৌন্দর্য বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওযা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘দৃষ্টিকটূ’ স্থানটি এখন ‘দৃষ্টিনন্দন’ স্থানে পরিণত হয়েছে। যেখানে প্রকৃতি ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের আবহ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পর্যটন শহর কক্সবাজারকে আরো সুন্দর ও পর্যটনবান্ধব করে গড়ে তুলতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় এই দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বাংলানিউজকে বলেন, আগে যে স্থানটিতে এসে মানুষ মুখে রুমাল দিয়ে দ্রুতগতিতে হেঁটে যেত, এখন সেখানে এসে অবাক দৃষ্টিতে থমকে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
এসবি/এএ